× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজধানী
প্রস্তুতি থাকছে করোনা বাড়লে হবে না পশুর হাট 
google_news print-icon

প্রস্তুতি থাকছে, করোনা বাড়লে হবে না পশুর হাট 

প্রস্তুতি-থাকছে-করোনা-বাড়লে-হবে-না-পশুর-হাট 
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বরাবরের মতো এবারও পশুর হাট বসানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। ফাইল ছবি
ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনে ২৪টি কোরবানির পশুর হাট বসে প্রতি বছর। এবারও ইজারাসহ সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে নগর কর্তৃপক্ষ। তবে করোনার সংক্রমণ বাড়লে হাট না বসানোর নির্দেশও আসতে পারে। 

কোরবানি ঈদে রাজধানীতে গবাদিপশুর হাট বসবে কি না, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। দুই সিটি করপোরেশন হাটের সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। তবে করোনা মহামারি পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে যদি হাট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়, তবে বন্ধ হবে হাট।

জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে। রাজধানীতে কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য এবার দুটি স্থায়ীসহ ২৪টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন।

এসব হাটে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

রোববার সিটি করপোরেশনের তথ্যমতে, এখনও দুই সিটিতে সবগুলো হাটের ইজারা দেয়ার কাজ শেষ হয়নি। এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০টি হাট রয়েছে। এর ৯টি অস্থায়ী ও একটি স্থায়ী। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৪টি হাটের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যার মধ্যে ১১টির ইজারা দেয়া হয়ে গেছে। তিনিটি এখনও বাকি রয়েছে।

করোনা মহামারির মধ্যেও গত বছর দুই সিটি করপোরেশন রাজধানীতে ২৪টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় উত্তর সিটিতে ১০টির পরিবর্তে ৬টি এবং দক্ষিণে ১৪টির পরিবর্তে ১১টি হাট বসায় কর্তৃপক্ষ।

ঢাকার হাটের পশু সাধারণত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসে। দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের মধ্যে এসব হাটে বিক্রেতা ও ক্রেতার স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে নিশ্চিত হবে, সেটি এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লেলিন চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সামনের দুই সপ্তাহ আমাদের কেমন যাবে, বিষয়টি তার ওপর নির্ভর করছে। যদি সংক্রমণ বাড়ার ধারাবাহিকতা থাকে, বা আমরা থামাতে না পারি, তাহলে হাটের বিকল্প চিন্তা করতে হবে। আর যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে, তবে সেখানেও আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে।’

কী পরিবর্তন আনতে হবে, জানতে চাইলে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘গত বছর আমরা অনলাইনে গবাদিপশু কেনাবেচা করেছি। সেটি ছিল প্রায় ২৫ ভাগ। এবার সেটি ৫০ শতাংশ করা উচিত। আর যদি হাট বসাতেই হয়, তবে বড় শহরের বাইরের খোলা জায়গায় সেটি বসাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এর জন্য টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ অথবা সদরঘাট থেকে মোহাম্মদপুরের যে রাস্তা, সেগুলোকে মাথায় আনতে হবে। যারা ভ্যাক্সিন নিয়েছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে যাবেন। তবে আগের মতো এত হাট এবার বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।’

প্রস্তুতি থাকছে, করোনা বাড়লে হবে না পশুর হাট

কী বলছে সিটি করপোরেশন

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত ১০টি হাটের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে একটি স্থায়ীসহ বাকিগুলো অস্থায়ী। এখন পর্যন্ত হাট বন্ধের কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে অনলাইনে হাট পরিচালনা করার একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে আজ (রোববার)।’

ঢাকা উত্তরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জোবায়দুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা মূলত এখন অনলাইন হাটের ব্যাপারে বেশি উৎসাহিত করছি। গতবারের মতো এবারও আমরা অনলাইনে ১ লাখ গরু বেচার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে শুধু ১ লাখ গরু বিক্রি করলেই তো আর হবে না। দেশে গরুর চাহিদা ১কোটি ১৯ লাখ।’

তিনি বলেন, ‘এই সিটি করপোরেশনে ১০টি হাট রয়েছে। এটি লকডাউন পিরিয়ডে কোনোভাবেই কার্যকর হবে না। লকডাউন শেষ হলে তখন হাটের কার্যক্রম শুরু হবে।’

স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে মানা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১০টি গরুর হাটের জন্য আমার ১১টি ভ্যাটেরিনারি টিম কাজ করবে। এর মধ্যে দুইটি টিম সার্বক্ষণিক স্থায়ী হাট গাবতলীতে থাকবে। আমাদের মনিটরিং টিম থাকবে। মোবাইল কোর্ট থাকবে। তারা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা, সেটি লক্ষ্য রাখবে।

‘এ ছাড়া আমাদের একটা বড় উদ্যোগ আছে। সেটি হলো গণমাস্কিং। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটি, দেশের ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও শক্তি ফাউন্ডেশন মিলে সেটি পরিচালনা করছি। আমরা ৯টি স্পটকে চিহ্নিত করেছি। যেখানে জনসমাগম বেশি হয়। সেখানে মাস্ক বিতরণ করব।’

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত সব সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর নির্ভর করছে। যদি করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি হয়, আর সে ক্ষেত্রে যদি হাট বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে, তবে আমাদের সেটা মানতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত সরকার থেকে হাটের ওপর কোনো নিষেধ আসেনি। হাট নিয়ে পরিকল্পনা এখনও আগের মতোই আছে।’

স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলনে, ‘আমরা আমাদের ইজারাদারদের বলে দিয়েছি, তারা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটের কার্যক্রম পরিচালনা করে। যদি আমাদের কোনো বিধিনিষেধ দেয়া হয়, তবে সেটি মেয়র মহাদয় পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেবেন।’

এই সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতবারও করোনার মধ্যেই হাটের কার্যক্রম চলেছে। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা পেয়েছি, সেইভাবে কাজ করছি। এবার একটু বেশি সতর্ক থেকে হাট পরিচালনা করা হবে। আমাদের প্রায় সব হাট ইজারা দেয়া হয়েছে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজধানী
Former senior secretary Abu Alam Shahid Khan arrested

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহবাগ থানার মামলায় আজ সোমবার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আবু আলম শহীদ খান ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মন্তব্য

রাজধানী
DMP 2 cases in violation of traffic law in Dhaka

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৬৭টি মামলা করেছে ঢাকা

মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, রোববার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

রাজধানী
The contaminated air is taking the life expectancy of the residents of Dhaka for about 5 years

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ুদূষণ বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫ বছর ৫ মাস কমিয়ে দিচ্ছে। বিষাক্ত বায়ুর এই প্রভাব রাজধানী ঢাকায় বিশেষভাবে তীব্র। বায়ুদূষণ এই শহরের মানুষের গড় আয়ু ৬ বছর ৯ মাস কমিয়ে দেয়।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের গত সপ্তাহের এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশকে বায়ুদূষণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণ হলো আয়ুর জন্য সবচেয়ে বড় বহিরাগত হুমকি। বাংলাদেশে, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ।

রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষের সবাই এমন এলাকায় বাস করে, যেখানে বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট দূষণের বার্ষিক গড় মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা (৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) এবং দেশের জাতীয় সীমা (৩৫ মাইক্রোগ্রাম) উভয়ই ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকার মতো জায়গায় এই মাত্রা ৭৬ মাইক্রোগ্রামের ওপরে দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা মেনে চললে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫.৫ বছর বেশি হতে পারে।’

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, সরকার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হচ্ছে।

ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। আমার সন্দেহ আছে, বিশ্বের আর কোনো দেশ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী আছে কিনা।’

তিনি বলেন, ‘এখানে বায়ু দূষণ এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটি শনাক্ত করার জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি খালি চোখেই দেখা যায়।’

বাংলাদেশের শহরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য ‘ধোঁয়াশা’ একটি নিত্যদিনের বাস্তবতা। প্রায় প্রতিদিন সকালেই তাদের ঢেকে রাখে এই ‘ধোঁয়াশা’। কিন্তু আরও বিপজ্জনক হলো, দূষণ যেগুলো চোখ দেখতে পায় না: কণা পদার্থ, PM2.5 — ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম প্রশস্ত বায়ুবাহিত ক্ষুদ্র কণা- এগুলো ফুসফুস এবং রক্তপ্রবাহের গভীরে প্রবেশ করে মারত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

১৯৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে PM2.5-এর মাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ই কেবল এই মাত্রা কমেছিল। কিন্তু সেই প্রবণতা স্থায়ী হয়নি।

ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘গত বছরের AQLI রিপোর্টে, আমাদের গড় আয়ু ৪.৮ বছর কমেছে, এবং এই বছর তা ৫.৫ বছর হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এটি দেখায় যে, রাষ্ট্র তার জনগণের সুরক্ষার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেনি, যার অর্থ বাংলাদেশ সরকারও এই প্রতিবেদনের ফলাফলের সঙ্গে একমত। রাষ্ট্র এখানে দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’

দূষণের প্রধান উৎস হিসেবে তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকে তালিকাভুক্ত করেন, বিশেষত ইটের জন্য কয়লা বা কাঠ পোড়ানো।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঢাকার রাস্তায় অতিরিক্ত ১ লাখ যানবাহন চলাচল করে। এই যানবাহনগুলোর অনেকগুলো যথাযথ ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই চলে। এটি বায়ু দূষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণও আমাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। খোলা জায়গায় পোড়ানোসহ সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবও একটি বড় কারণ।’

সর্বশেষ বায়ুদূষণ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার বছরের শেষ নাগাদ তার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও কাজটি সহজ নয়, তবুও পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ু মান ব্যবস্থাপনার পরিচালক ড. জিয়াউল হক স্বীকার করেছেন, ‘বায়ু দূষণের প্রতিটি উৎস’ বাংলাদেশের পরিবেশে বিদ্যমান।

তিনি আরব নিউজকে বলেন, ‘আমরা রাস্তা থেকে ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই খাতে আমরা এখনো কোনো সাফল্য দেখতে পাচ্ছি না।’

ড. জিয়াউল হক বলেন, ‘যেসব বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী, আমরা তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের আওতায় আনব। তাদের কারখানার চুল্লিতে একটি যন্ত্র স্থাপন করা হবে এবং আমাদের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয়ভাবে নির্গমনের ফলাফল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কোনো বিচ্যুতি পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করব। ‘বাংলাদেশ পরিষ্কার বায়ু’ প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই মাসের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে।’

যদিও দূষণের সমস্ত উৎস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তবুও কিছু উৎস এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত দূষণ ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার ৩৫ শতাংশ বায়ু দূষণ দেশের বাইরে থেকে আসে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকার বায়ু দূষণের ২৯ শতাংশই বর্জ্য এবং জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর কারণে হয়। আমরা এই সমস্যাটি সঠিকভাবে সমাধান করতে পারিনি। আমাদের প্রচেষ্টা সেখানেই আছে।’

সূত্র: আরব নিউজ

মন্তব্য

রাজধানী
Police have been injured in the movement of students in Shahbag

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ পানি ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

রাজধানী
BUET students are still in Shahbag blockade today

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’ অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। এর ফলে সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

রাজধানী
DMP 2 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩৪৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ পান করে সামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সামিয়া মুগদা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর মান্ডার এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।

সামিয়ার ভাই সাহিম জানান, সামিয়া একটু রাগী স্বভাবের ছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে বাসায় রাখা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুগদা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে